Posts

Showing posts from 2020

রূপসা-জয়ী | কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
রূপসা পাড়ের মেয়ে কিংবা প্রিয় জয়িতা, কেমন আছেন,কোথায় আছেন কিংবা এখন                                                আপনার মন                                               করছে কেমন? পত্র দেবেন; রূপসা জলে ভাসিয়ে দেবেন, উড়িয়ে দেবেন আকাশ জুড়ে। রূপসা জলে ভেসে কিংবা হাওয়ার আবেশে চিঠিখানি পাবো আমি; আমি এক ছিন্নমস্তা চণ্ডী, অযাচিত যাযাবর পৃথিবীর পথ ধরে হেঁটে চলা উড়নচণ্ডী খেচর। পত্র দেবেন; পত্রগুলো হাতে পেলে ভাবগুলো সব পত্রে মেলে নদীর জলে ভাসিয়ে দেবো,উড়িয়ে দেবো মেঘের দলে; ধরতে গিয়ে খুঁজলে পাবেন অ-প্রেমিকের পূর্ণ প্রেম চাইলে পারেন উড়িয়ে দিতে, জড়িয়ে নিতে'ও চাইলে পারেন ইচ্ছে যদি জাগে, নীলপদ্ম জড়িয়ে দিলাম রূপসা জলে, মেঘের দলে, অ-প্রেমিকের চিঠির খাম। আপনার যত নীলপদ্ম,জড়িয়ে নেবেন তার'সাথে পূর্ণ প্রেমের পরের যা, ফুরাবে না এই বেলাতে, তারচে বেশি রইলো তোলা; পত্র পেলে রওনা দেবো পত্র পেলে সাত বাজারের বেচাকেনা চুকিয়ে দেবো। পত্র পেলে এই বেলাতে খানিক না'হয় কবি'ই হবো না বলা এক অলক্ষুণে খানিক ঘোরের মাতাল হবো না দেখা ঐ কল্পলোকেই আমরা যেন প্রাণ জুড়াবো আপনি যদি আসেন, একটা জীবন - সমাজ হবো পত্র যদি দে

বুক রিভিউ: আঙ্গারধানি | কিঙ্কর আহ্সান

Image
•  পাঠ-অনুভূতি : আঙ্গারধানি। যে পাত্রে আগুনের ফুলকি, জলন্ত কয়লা রাখা হয়। আমাদের হৃদয়'টাও এক একটা আঙ্গারধানির মতোন। সেখানে আমরা খুব সযত্ন পুষে রাখি আমাদের সুখ-দুঃখ, পাওয়া-না পাওয়া আর যতকিছু আমাদের পোড়ায়, আমাদের ফুরায় - সব। আলগী নদীর তীরবর্তী এক গ্রাম। এই গ্রামের শাশ্বত এক পরিবারের সর্ব-কণিষ্ঠ সন্তান পারুলকে একদিন বাড়ির পেছনে আঁধারে ঢাকা কবরস্থানে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ছোটবোনটি তাদের তিন ভাইবোনের মাঝে সবার বড়, ভাইজানের খুব আদরের। তার মৃত্যুর খবরে আট বছর ধরে বাড়ি ছেড়ে পালানো ভাইজান হঠাৎ ফিরে আসে। আর আসে নিশা আপা। লেখকের এবং একইসাথে লেখকের বড় ভাই যার প্রেমে পড়ে গেছিলো, লেখক বয়সে বেশ ছোট বলে পাত্তা না পাওয়া, মা মরা তাদের অসহায় এবং একইসাথে সহোদর খালাতো বোনের। আর আছে কমলেশ, লেখকের বাল্যবন্ধু, মাটির মায়ায় বিদ্ধ এক শাশ্বত পল্লিগাঁয়ের মানুষ। ভাইজানের বাড়ি ফেরায় অনেক অনেক প্রতীক্ষার অবসান হয়, শুরু হয় এক নতুন লড়াই। এ লড়াইটা মনস্তাত্ত্বিক। ভাইজান প্রতিনিয়তই কিছু লুকিয়ে যাচ্ছেন, অনেক অনেককিছুই লুকিয়ে রাখছেন নিজের কাছে। এদিকে সদা উচ্ছ্বল নিশা আপাও ভাইজানকে পেয়েও

মহাকাল-পাপী | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
আপনি ব্যস্ত, আকারে না হলেও জানিয়েছেন ইঙ্গিতে; আমি প্রহর গুনি এক,দুই,তিন....এক-কোটি এক, এক-কোটি দুই.. আপনার ব্যস্ততা ফুরোয় না, আমার প্রহরের হিসেব থামে না; জানেন তো, আমি বড্ড অলস, বদমেজাজি, অপেক্ষার ধার ধারি না, জড়াই না প্রহরের হিসেবে। হঠাৎ'ই যেমন ঝড় এসে গুড়িয়ে দেয় পুরো জনপদ, সভ্যতার মুখোশ, একদিন শুভ সকালে আপনি তেমনি হানা দিয়েছেন হৃদয়ে, ঝড়ের তছনছ শেষে অসহায় গ্রামবাসী— যেমন বৃথাদৃষ্টি নিয়ে আকাশের পানে চায়, আমিও তেমনি করে বদলে গেছি; কেবল'ই প্রহর গুণি ঝড় শেষে আসা সরকারি ত্রাণ হোক আপনার দিদারের, অথচ আপনার দু'দণ্ড অবসর হয় না-অবসরহীনতা জানাবার। মৃতপথযাত্রীর মতো করে তসবি জপি প্রহরের, প্রহর রাঙা আপনার দিদার হয়ে আসুক মালাকাল মউত, ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে শেষবারের মতো পড়ে নিই প্রেমের কলমা— আমি আপনাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভা..লো...বা....সি..... অথচ বলা হয়ে ওঠে না, যেমন করে পাপী বান্দার মরার সময়ে নসিব হয় না কালেমা, ঠিক তেমনি করে'ই; আমার প্রহর ফুরোয় না, যেন মহাকাল; পাড়ি দি'ই কালের শেষে অফুরান মহাকাল, দ্ব্যর্থহীন ব্যর্থ ছুটে চলা'র নিয়তি, হাবিয়া'য় বসে তসবি জপি প

অ-কবিতা: দশমিক | সামি আল সাকিব

Image
আমার বারোটা বেজে গেছে ঘড়ির কাটায় সুবহে সাদিক অথচ আম্মা জানেন আমি তার অবাধ্য খোকা আব্বা জানেন ছেলে তার হাত ফসকে গেছে স্ব-জনরা জানেন- ইঁচড়েপাকা অথচ আমার বারোটা বেজে গেছে সামাজিকেরা জানে আমি অসামাজিক সন্নাসিরা জানে আমি খাস সামাজিক সমাজপতিরা জানে আমি এ'দুয়ের সেতুবন্ধ অথচ আমার বারোটা বেজে গেছে নাস্তিক জানে আমি উগ্র ধার্মিক ধার্মিক জানে আমি নব নাস্তিক ঈশ্বর জানেন আমি তার আরাধনার ধার ধারি না আমি মানি, ঈশ্বর আমারে শোনেন না অথচ প্রতিবারেই ন্যায়ের মিজানে অন্যায় মাপা হয় তাই আর কি হবে! আমার বারোটা বেজে গেছে শিক্ষক জানেন আমি ফাঁকিবাজ আমি মানি, পরিশ্রমী দুর্ভাগা দিনশেষে ভাগ্য ভুলায় 'সব দোষ আমার' বাস্তবতা কেবলই ফাঁকা বুলিদের আর কি হবে! আমার তো বারোটা বেজে গেছে আমার হিসেবে দুই যোগ দুই সমান চার জাগতিক বলে, ২.৫ যোগ ১.৫ সমান চার দশমিকের হিসেব মাথায় ধরে না হিসেবটাও তাই আর মেলে না, মিলে আর কি'ই বা হবে? আমার তো বারোটা বেজেই গেছে।                                        ▫▫▫▫▫ ~ ' দশমিক ' ~ সামি আল সাকিব ~ মিরপুর-১৪,ঢাকা-১২১৬ ~ ১১/০৯/২০২০

কবিতা: তুমি কাঁদো | সামি আল সাকিব

Image
আমি চাই তুমি কাঁদো, কাঁদতেই থাকো চোখ হয়ে যাক বর্ষার ফারাক্কা বাঁধ, মুখ হয়ে যাক নায়াগ্রার প্রপাত, চিরায়ত রমণী, সব হারিয়ে-পাওয়ার পরের কান্নায় মেতে থাকো, আমি চাই তুমি কাঁদো, কাঁদতেই থাকো; আমাকে পেয়ে ঈদ আসুক তোমার হিমশীতল হৃদয়ে, ওষ্ঠে অঙ্গুরি ছুঁয়ে যাক; ছুটে এসে দুমদাম কিল-গাট্টা মেরে মুখ লুকিয়ে নাও আমার বুকে, কান পেতে রও ঠিক হৃদয়ে, ধক-ধক-ধক-ধক, তোমার চোখের জল,কাজলে ভিজে যাক আমার প্রিয় শার্ট, তোমার মুখের প্রসাধনী অযাচিত লেপে যাক; বৃষ্টির ছোঁয়ায় জেগে ওঠা চারণভূমি হয়ে উঠুক আমাদের হৃদয়, হৃদয় বলে যাক - তোমরা এমনই থাকো, আমি চাই তুমি কাঁদো, কাঁদতেই থাকো।                                     --- ~ ' তুমি কাঁদো ' ~  সামি আল সাকিব ~  ২৯-০৯-২০২০ ~  মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২১৬  

কবিতা: চুরুটের তেষ্টা | সামি আল সাকিব

Image
আজ এক-কোটি বছর আমি চুরুটে তেষ্টা মেটাইনি, ধূম্র শলাকায় আগুন জ্বালিয়ে কেবলই মুখ,দাঁত খিচে টেনে গেছি আর কটমট করে তাল মিলিয়েছি খিস্তি খেউড়ে, বলে গেছি আমি আছি। অথচ বেড়িয়েছি চুরুটের তেষ্টা মেটাবো বলে, পাইনি; যেমন করে প্রেয়সীর ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেখা, অথবা উরু সন্ধি, বক্ষ ঢল, আর নরম শেতাঙ্গ ছুঁতে পারেনি শিশ্ন; শিৎকার, চিৎকার, নেহাত'ই নিরবতা শোনবার ক্ষমতা হয়নি কারো, অথচ বেড়িয়েছি চুরুটের তেষ্টা মেটাবার ছলে, পাইনি। যেমন করে প্রেয়সী হয়ে গেছে রমণী; আদুরে, সাধারণ বাঙালি গৃহিণী, মুখ লুকিয়ে,গাল ফুলিয়ে বসে থাকা কোলাব্যাঙ; অথচ আমি কেবল সঙ্গীনী চেয়েছি, আত্মার সঙ্গীনী; ঘরোয়া-রমণীর দায় নিতে সাধ পাইনি, তবু দিনশেষে রমণী হয়ে'ই এলো সে-তারা যেমন করে চুরুটের নেশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেনে গেছি কেবলই ধূম্র শলাকা, তেষ্টা মেটেনি। নাক,মুখ খিঁচে মেতেছি খিস্তি-খেউড়ে, ধোয়াঞ্জলী দিয়েছি কাল-আকাশ, প্রেয়সীর বিকেল, অস্বস্তিকর মধ্যরাত; অথচ বেড়িয়েছিলাম চুরুটের তেষ্টা মেটাবার ছলে, না চুরুট না প্রেয়সী, আসেনি কেউ। তেষ্টায় হৃদয় শুকিয়ে কাঠ, কাঠের আগুনে চড়ে ঈশ্বর বলেন 'সব দায় আমার', যেমনটা হয়ে গেছে প

বুক রিভিউ: যাপিত জীবন - সেলিনা হোসেন

Image
বইয়ের প্রচ্ছদ* ◾ বই-পর্যালোচনা :           ( ১ )  ১৯৪৭ সাল। ভারতবর্ষ ভেঙে ধর্মভিত্তিক দুটো নতুন রাষ্ট্র হয়। আর হয় দাঙ্গা। রক্তক্ষয়ী হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার শিকার হয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা সাজানো-গোছানো জীবন রাতের আঁধারে সদ্য স্বাধীন দেশ পূর্ব পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন স্থানীয় স্কুল শিক্ষক, নিসর্গবেদী মাঝ বয়সী সোহরাব আলি, স্ত্রী আফসানা খাতুন, পুত্রত্রয় মারুফ,জাফর এবং দীপু। বন্ধু দীপেনের আত্মীয়তার সূত্রে খুব একটা ঝামেলা ছাড়াই মাথা গুঁজবার মতো বেশ ভালো একটা ঠাই হয় তাদের। বিরাট আঙিনা, বাগান আর ছায়াঘেরা কলকাকলি মুখর এক দ্বীতল বনেদি বাড়ি। সবুজে ঘেরা বাড়িটাই হয়ে ওঠে তাদের নতুন ঠিকানা। তারা আবার নতুন করে তাদের সংসার,জীবন,বাড়ি আর স্বপ্ন সাজাবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠেন। বড়ছেলে মারুফ যোগ দেয় চাকুরিতে। মেজোছেলে জাফর ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ছোটছেলে দীপু ভর্তি হয় স্কুলে। সোহরাব আলি আবার ফিরে যেতে থাকেন তার পুরোনো জীবনে, নিসর্গবেদী, শখের হেকিম, কাজের মাধ্যমে গরিব দুঃখীর উপকারে নিবেদিতাপ্রাণ জীবনে, তার গাছগাছালির সংসারে। আর আফসানা খাতুন ভীত অথচ দৃঢ় হাতে আগলে রাখেন তার পরিবার, তার সংসারকে

নীলপদ্ম | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
আমার হাতে গোলাপ 'নীলপদ্ম' তোমায় দিলাম আমার হাতে গোলাপ প্রেমপত্র তোমায় দিলাম আমার হাতে প্রেমপত্র  পত্রে বোবা প্রেম দিলাম আমার হাতে গোলাপ গোলাপজুড়ে স্বপ্ন দিলাম আমার হাতে ঘোর ঘোরের খানিক অমৃত দিলাম আমার হাতে গোলাপ গোলাপটাকে তোমায় দিলাম; তোমার হাতে নীলপদ্ম অব্যক্তিরা বিলাপ করে তোমার হাতে নীলপদ্ম  পদ্মগুলো হেলায় ঝরে তোমার হাতে গোলাপ নীলপদ্ম পঁচে মরে তোমার হাতে গোলাপ গোলাপটাতে দুঃখ ঝরে।                 --- - ' নীলপদ্ম ' -  সামি আল সাকিব -  ১৭/১২/২০১৯ -  মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২১৬

অপরিচয় | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
এই যে তুমি, প্রিয়- কিংবা দীর্ঘদিনের দীর্ঘশ্বাস, অপ্রিয়; আমি তোমায় চিনতে পারছি না! ঈশ্বরের দিব্যি, আমি তোমায় চিনতে পারছি না। প্রণয়ের আড়াল, অসীম মহাকাশ-কাল চিরবৈরী; কোথায় একটা দীর্ঘশ্বাস, অচেনার লজ্জাবোধ- সামাজিকতা; এর বেশি আর কিছু যে মনে করতে পারছি না। বিশ্বাস করো! আমি তোমায় চিনতে পারছি না। আলাপ বুঝি না, প্রেম বুঝি না, ধর্ম-কর্ম আর রাজনীতি বুঝি না বোঝার পরেও তাও বুঝিনা; আর চিনিনা আমাদের। যেমন তুমি কিংবা আমি - হঠাৎ কিংবা স্ব-বাক প্রাতে আর চিনিনি আমাদের...। খোদার কসম! আমি তোমায় চিনতে পারছি না।                           --- - 'অপরিচয়' - সামি আল সাকিব - ১৩/০২/২০২০ - মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২১৬

প্রিয় ভালোবাসা | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
তুমি বললে 'পত্র দিও' আমি লিখতে বসে অনেক অনেক কথার ঝড়ে মেঘের সাদা গায়ে অনেক কথাই লিখলাম তারপর তোমার নামে খোলা আকাশে উড়িয়ে দিলাম। চিঠিটা তুমি পাবে না; হয়তো ভাবছো কী লিখেছি? 'ভালোবাসি প্রিয়'। এই যে এতো চিন্তার ঝড় কতশত ব্যর্থপ্রহর অব্যক্ত রাত, ব্যাকুল প্রতিক্ষা এসবই তোমার জন্য, তোমায় জানানোর জন্য এরচেয়ে বেশি কিছু তো বলতে নেই সবই যে স্পর্শের ব্যাপার। সবটা যদি বলাই যেত এই যে এতো মধুর প্রেম ভালোবাসা যাতনার জাদুঘরে ঠাঁই পেতো। তুমি বরং তোমার দু'হাতখানির ছোঁয়া দিও অতকিছু বলতে হবে না খানিক নাহয় আত্মা হবো আত্মার সাথে অন্তরাত্মা তারপর নাহয় সুযোগ করে বলে নেব 'অসুখ হও-প্রিয়'।              --- ~ ' প্রিয় ভালোবাসা ' ~  সামি আল সাকিব ~  ২০/১১/২০১৯ ~  মিরপুর-১৪,ঢাকা-১২১৬

Poem: Smile | Sami Al Shakib

Image
Smile, smile in need, when you don't, smile Smile in joy, over the sorrow, smile Smile over fight, before death-bed, smile Smile in depression, smile in hestitation, smile Smile in occasion, smile without occasion, smile Smile in crowd,smile alone, smile Life is a joy ride, enjoy and have life, smile Good to laugh then be sad over the edge of life, smile My friend smile, smile and have your life Smile over every situation, unsung session, smile Come, have your life, feel your life, enjoy your life, smile Life feels beautiful when you smile Forget everything, forgive everyone, just smile Have your smile in your face, wear your smile Life is so beautiful,meaningful, put your smile Life is adorable, so enjoyable when you smile,                                        smile over everything Life is long, romantic song when you smile Come, have your life, have your smile Smile, have your smile in the face, Smile Smile in need, when you don&#

একটি অনুগল্পের কাব্য | সামি আল সাকিব

Image
দিনের শুরুতে নীড় ছেড়ে যায় পাখি ফিরে আসে সাঁঝের-বাতি জ্বলবার আগে, গাছ থেকে যায়, ঠায় দাড়িয়ে, বাহুডোরে সযত্নে নীড় ধরে, পাখি তা জানে না, জানে না দুষ্টের ঢিল, রোদ-ঝড় আর হানাদার হিংস্রতা গাছের আড়ালে থেকে বেড়ে ওঠে, উড়তে শেখে, উড়ে যায়; গাছ তবু ঠায় দাড়িয়ে। বয়সের ভার, সমাজের ভার, বাহুডোরে বয়ে চলা সকলের ভার, বিনে পয়সার পাওয়া পোকামাকড়ে সময় কুঁজো হয়, ক্ষত হয়, ধ্বসে যায়। শ্রাদ্ধোৎসবে মেতে ওঠে ওরা, শেষকৃত্য হয় গাছেরও! সবাই আসে,তবু হায়! গাছেদের শেষকৃত্যে পাখিরা থাকে না। যেমন থাকে না একসাথে শুরু করা সঙ্গীর সাথী, ঠিক তেমনই।                                                     --- ~ মিরপুর-১৪,ঢাকা-১২১৬ ~ ১৭/০৮/২০২০

আহারে জীবন! (প্রলাপের আলাপ-১) | সামি আল সাকিব

Image
কিছু জিনিস কোনোদিনই পরিণতি পায় না। পরিণতি পায় না সেসবে লেগে থাকা মানুষ। পরিণতি পায় না সাধ, আহ্লাদ, স্বপ্ন, স্বপ্নের মানুষ, মানুষের মন, জীবন, ভাবনা, বয়স আর প্রেম। তবু আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি ভালোবাসতে। কখনো কখনো পরিণতি পেলেও,সবসময় সব ভালোবাসা পরিণতি পায় না। থমকে দাড়ায় প্রণয়,পরিণয়,থমকে দাড়ায় ঘোর, সিগারেটের নিকোটিনের মতো একসাথে দলা পাকিয়ে রাখে বুকে,গলায় আটকে থাকে কাঁটা হয়ে,অথচ আমরা এসব আঁকড়ে ধরে থাকতে ভালোবাসি। পরিণতি না পাওয়া যত প্রণয়,একান্তই ব্যক্তিগত বিষাদ এসবই একটামাত্র ছায়া,একটা অবলম্বন থাকে জীবনের, অফুরান দিনের একমাত্র সঙ্গী। পরিণতি না পাওয়ার পরিণতি। এরাই পরিণতি। জীবনের, যৌবনের, সাধের, স্বপ্নের, প্রণয়ের পরিণতি। একটা অপরিণয় পাওয়া প্রণয়ের পরিণতি। কিছু জিনিস কোনোদিনই পরিণতি না পাওয়ার পরিণতি। পরিণতি জমে থাকা স্মৃতির। প্রতিনিয়তই স্মৃতির আঘাতে এফোঁড়ওফোঁড় হওয়া বুকের পরিণতি। তবু এই পরিণতি মানুষ ভালোবাসে। যেমন করে নর তার নারীকে ভালোবাসে। প্রণয় হবার স্বপ্ন দেখে। এমন পরিণয় প্রতিনিয়তই মানুষকে মেরে ফেলে, মানুষ তবু মরে না। যেমন করে প্রণয়ের পরিণতি হতে হতে হয় না.....ঠিক তেমনি।    

হিসেব | সামি আল সাকিব | প্রলাপ

Image
যতখানি মোর যাওয়ার ছিল, তার কতটুক গেলাম? যতখানি মোর পাওয়ার ছিল, তার কতটুক পেলাম? কতখানি মোর বাঁচার ছিল, কতটুকু তার ছিলাম? কতখানি মোর হাসার ছিল, কতখানি তার নিলাম? যতটুকু মোর বলার ছিল, কতখানি তার বলা? যতটুকু মোর দেয়ার ছিলো, তার কতটুক তলা? কতটুকু মোর করার ছিলো, কতখানি তার হলো? কতটুকু মোর পরের ছিলো, কে-কতটুক নিলো? কতখানি মোর কাঁদার ছিলো, দম কতটুক নিঃশ্বাসের? কতটুকু তার দোষ ছিলো মোর, দায় কতটুক ঈশ্বরের? কতখানি তার হিসেব মতন, ভুল কতটা ধরছে জেঁকে? হিসেবটা ভুল, দায়টা অকূল, পাইনা হিসেব শতেক ছেঁকে।                                     --- ~ 'হিসেব' ~ সামি আল সাকিব ~ ১৭/০৭/২০২০ ~ মিরপুর-১৪,ঢাকা-১২১৬                

মানবজনম(অ-কবিতা) | সামি আল সাকিব

Image
হাসিতে চোখ ভিজে ওঠে হঠাৎ, চোখের তোড়জোড়,পরমানন্দের আগমনী দেখা যায় সুযোগে দু'ফোটা জল বেশি গড়ায়, মুখ হাসি জড়িয়ে রাখে বয়স আর কতই হবে,দুঃখ পাবার কারণ নেই,হাসছে বৈ সময় পোড়ায়,পুরায়। এবার না শুধু,বারবার চোখ ভেজে তবু ঢেকে রাখে হাসিমুখ,হাসছে বৈ রাত ঘুমায় না, ব্যাকুলতা কুঁকড়ে খায়, জ্বলে ওঠে চোখ,টপ-টপাটপ, একান্তে জ্বলে ওঠে দাউ দাউ, জ্বলে সরব,নিরব হয়ে -হৃদখণ্ড জ্বলবার যেন বেলাশেষে পাখিরা ছেড়ে যায়,থেকে যায় গাছ, শুরু থেকে শেষ-বধি - একইরকম নিঃসাড়, নড়বার জোঁ-টি নেই, হিমসাগরে ধাতুনিঃস্রব, প্রলাপ গায়, দাড়িয়ে তবু ঠায়,দাড়িয়ে থাকা দায় প্রলাপ গাওয়া দায়, চুপটি করে গাইতে থাকে, পথিক হেঁটে যায়,দেখে যায় ঠায় দাড়িয়ে নিরর্থব হেয়ালি, হেলছে-দুলছে, পাতা নাড়ছে হাওয়ায় দুলে, দুদণ্ড বসে, দাঁতন কাঁঠি ঝড়িয়ে,এগিয়ে যায়, এগিয়ে যায় হেয়ালি তবু ঠায় দাড়িয়ে, হাসছে-দুলছে, হাওয়ায় নাচছে শরীর, অঘটনে ঝরিয়ে দিচ্ছে জল, দু'ফোটা বেশি, মুখ জড়িয়ে রাখে জীবনের আহবান, প্রলাপ গায়, ক্ষরণে ঝর্ণার স্রোত বাড়ে, দেখা যায় মেতে আছে আজ বরষা ছোঁয়ার ছন্দে, নতুন ভোর,পাখিরা ছুটে আসে, কলরবে ঢেকে যায় সব, সব..... নড়তে পারেনা, বলতে পারে না,

বুক রিভিউ: মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য

Image
বইয়ের প্রচ্ছদ <3 • পাঠ -অনুভূতি  :  মা-দিদির স্নেহবঞ্চিত হয়ে বেড়ে ওঠা কলকাতার এক ক্ষুদ্র কাগজের অখ্যাত রিপোর্টার যুবক বাচ্চু। আস্থাভাজন অগ্রজ এবং একইসাথে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া দোলাবৌদিকে লেখা বেশ কিছু চিঠির সম্মিলন কিংবা একটি জীবনালেখ্য মেমসাহেব । নারী সাক্ষরহীন জীবন পেরোনো বাচ্চুর জীবনে নারীসঙ্গের ঝড় এসেছিলো। স্কুল জীবনে তার মনে ধরেছিলো নন্দিনীকে, কলেজ জীবনে নীলিমা। তবু কোথায় যেন ফোঁকর ছিল। হুট করে যেভাবে ঝড় এসেছে,তেমনি হুট করে আবার হৃদয় ছেড়েও গিয়েছে। বাঁধা পড়েনি কেউ। পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে একদিন রেলভ্রমণের সময় হঠাৎ বাচ্চুর চোখে পড়ে কামরার এক শ্যামবর্ণের ঈশ্বরী চোখের মায়াবিনী তরুণী। কিছু একটা বিশেষ আছে তার মাঝে। বাচ্চুর হৃদয়ে কেমন এক ঝড় বয়ে যায়। হৃদয়ে কেমন আকুলতার ঢেউ খেলে,নারী-ঝড়ের ঢেউ। এর আগেও বাচ্চুর জীবনে নারী-ঝড় এসেছে, থিতু হতে পারেনি। এবারের ঢেউ সত্যিই আলাদা। বাচ্চু অনুভব করতে শুরু করে তার হৃদয়ের যে শূণ্যতা তা এই শ্যামাঙ্গিনীই পুরাতে পারবে। প্রথম দর্শনে চোখাচোখি ছাড়া তেমন কিছু না হলেও বাচ্চুর তীব্র বিশ্বাস জন্মায়,তাদের আবার দেখা হবে। কীভাবে দেখা হবে

বুক রিভিউ: দাঁড়কাক - শওকত হোসাইন

Image
বইয়ের প্রচ্ছদ •              বই :  ' দাঁড়কাক '           লেখক :  শওকত হোসাইন  প্রথম প্রকাশ :  ২০২০ সন        প্রকাশক :  ঘাসফুল প্রকাশনী   পাতা সংখ্যা :  ১২৭ টি              ধরণ :  সমকালীন উপন্যাস • পাঠ-অনুভূতি : দাঁড়কাক। পাখিরাজ্যের এই পাখিটা কখনো পাখির মর্যাদা পায়নি।  কোনোদিন হয়তো পাবে এমন আশাও ক্ষীণ। এতো বড় রাজ্যের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সে বড্ড বেশি একা, নিঃসঙ্গ। ঠিক যেন পাশাপাশি দুটো কবরের মতো। আর মানুষ? মানুষ এর চাইতেও একা। আমরা সবসময় একটা সুন্দর সাজানো-গোছানো সংসার-জীবনের স্বপ্ন দেখি। ঠিক ছবির মত সুন্দর। আমাদের দিন-রাত,বেলা সব এই স্বপ্নকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। অন্তত সাধারণ মানুষের জীবনটা এমনই। কিন্তু মানুষ যা চায় তার সবই কি পায়? পায় না। মাঝমাঝে চোখ পড়ে শকুনের। আস্ত গিলে খায় ছবির মতো সাজানো জলজ্যান্ত স্বপ্নকে, স্বপ্নের মানুষকে। শ্মশান বানিয়েই কেবল এরা দম নেয়। ব্যস্ত ঢাকার বুকে একটুকরো স্বর্গ 'রেহানা মঞ্জিল'। পল্লিগাঁয়ের আদর্শ বাড়ি বলতে চোখে যা ভাসে, ঘনবসতির ঢাকায় তা দুঃস্বপ্ন হলেও বাড়িটা ঠিক তাই। বড় আঙিনা, শান বাঁধানো পুকুর,ছিমছাম ছোট্ট দোতলা বাড়ি। যে কার

চাঁদ-টিপ | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
তোমার কপালে, আফ্রোদিতি! শ্বেতাঙ্গ-কপালে মিহি টিপ, চাঁদ-টিপে প্রেমালয়, তুমি আর আমি তুমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখছো আমায়, আমি ফিরলেই ফিরিয়ে নিচ্ছো মুখ মুখ ফিরিয়ে হাসছো তুমি, মুখ টিপেটিপে; বিমুখ থেকে বয়ে চলা সুরা-স্বর; হাসির ঢেউয়ে চুমুক, চোখ পড়ে স্বর্গ দেবীর অলকানন্দায় বয়ে চলা স্রোত, তুমি, জড়িয়েছো নীল শাড়ি, মাটির ভূষণ-ঝলকানি খাঁজে, মুখ মেখেছো মহাকাল অবসানে, তোমার হাসি। আমি বিস্ময়ে বিস্ময়, দেখি, চোখ বেঁধেছে স্বর্গদ্বার, তুমি আড়চোখে দেখছো আমায়, বুঝে গেছো চাহনি; কেঁশের বাঁধন খুলে, কপাল থেকে শরীর জুড়ে, ছড়িয়ে দিলে ঠিক মাঝামাঝি কপালের, নিখাদ কালো টিপ, চাঁদের বুকে মণি ফিরে তাকালে আমার দিকে, আড়চোখে নয়, সরাসরি আমি ধড়ফড়িয়ে দাড়িয়ে গেছি, ভুলে গেছি শ্বাস নিতে, ভুলে গেছে চোখ বিরতির, অপ্রস্তুতির প্রস্তুতিতে... কেমন কেমন ঘোর লেগেছে, নেশা ধরেছে খুব আমি পিপাসার্ত মহাকাল, আদিসত্ত্বায় হানা দিয়েছি তোমার দু'চোখে, কপাল জুড়ে সেই কালো টিপ খোলস ছেড়ে নেশা হবে, তোমার দু'ঠোঁটে, কপালের কালো টিপে কেবল তোমার চোখে চেয়ে,কাজল কালো টিপে। তুমি জানো চোখের ভাষা! সম্মোহনী, এমন নেশা'ই চড়ে গেছে আ

বুক রিভিউ: আয়েশামঙ্গল - আনিসুল হক

Image
বইয়ের প্রচ্ছদ •             বই :   'আয়েশামঙ্গল'          লেখক :  আনিসুল হক প্রথম প্রকাশ :  ২০১০ সন       প্রকাশক :  পার্ল পাবলিকেশন্স  পাতা সংখ্যা :  ১২৮ টি             ধরণ :  ইতিহাস আশ্রিত কাল্পনিক উপন্যাস • পাঠ-অনুভূতি : ১৯৭৭ সালের শেষের দিক। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তখন চলছে এক উত্তাল সময়। চলছে অভ্যুথান-পাল্টা অভ্যুথান। দেশ চালাচ্ছেন সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অক্টোবরের শুরুর রাতেই ঘটে এক রহস্যময় অভ্যুথান। একটি ব্যর্থ অভ্যুথান। যাতে অংশ নিয়েছিলো সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারসহ বেশ কিছু সদস্য। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কৌশলের জোড়ে এই অভ্যুথান থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। বিমানবাহিনীর সৈনিক জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আর কয়েকদিনের ভেতরই জন্ম দিতে চলেছেন তাদের দ্বিতীয় সন্তানকে। অভ্যুথানের রাতে জয়নাল ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে,তার স্ত্রীর পাশে। ঢাকার সরকারি কোয়ার্টারে। অভ্যুথানের খবর তিনি জানেন না। পরদিন সকালে যথারীতি তিনি তার কাজে যান, স্ত্রীকে তিনি কথা দিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় তিনি স্ত্রীর পাশে থাকবেন। কাজের সময় শেষ হয়, তিনি আর ফেরেন না।

ছাদটি নেই | অ-কবিতা | সামি আল সাকিব

Image
দীর্ঘদিনের আফসোস আমার একটা 'বাড়ির ছাদ' নেই রোজ বিকেলে কিংবা ভোরে, সময় কিংবা অসময়ে ছাদে যাওয়ার তাড়া নেই; দীর্ঘদিনের আফসোস আমার একটা বাড়ির ছাদ নেই। আমার একটা 'আমরা' নেই ভোরের সূর্য,রাতের চাঁদ কিংবা খোলা আকাশ, হুটহাট বৃষ্টি চাওয়ার অসুখ নেই, খেয়াল কিংবা বেখেয়ালে ছাদ সাজানোর লোকটি নেই; আমার দীর্ঘদিনের আফসোস আমার একটা বাড়ির ছাদ নেই। ছাদের কোণে গল্প বলা কিংবা ভীষণ নীরব ছায়া, অকথ্য সব অনুভূতি-আর অব্যক্ততার প্রলাপ গান, এসব শোনার আপনি নেই। আপনি ছাদ ভালোবাসেন অথচ আমার বাড়ির ছাদ নেই; আপনি ছাদ না পেলে ছাদনাতলায় যাবেন না, অথচ আমার ছাদ বানানোর জো-টি নেই। আমি,আপনি 'আমরা' হতে একটা বাড়ির ছাদের বি-সুখ; দীর্ঘদিনের আফসোস আমার একটা বাড়ির ছাদ নেই, ছাদের সাথে আপনি নেই খুব অসুখেও 'আমরা' নেই; আমার দীর্ঘদিনের আফসোস আপনি আমার ছাদটি নেই...                      --- - 'ছাদটি নেই' - সামি আল সাকিব - ০৮/০৩/২০২০ - মিরপুর-১৪,ঢাকা

মা, দ্যাখো! | সামি আল সাকিব | কবিতা

Image
আমি আজ বড্ড হাঁপিয়ে গেছি,মা! বেলা ফুরোবার আগেই কেমন এক ক্লান্ত-শ্রান্ত-জীর্ণতা আমায় কুঁকড়ে খাচ্ছে, মা, আমি আজ বড্ড বেশি হাঁপিয়ে গেছি। নতুন জুতোর স্বপ্নে- পথ চলতে চলতে আমার পথটাই ফুরিয়ে গেছে; চকচকে একজোড়া নতুন জুতো এলেও আমার হাঁটার পথটাই যে ফুরিয়ে গেছে! আমি আজ বড্ড হাঁপিয়ে গেছি,মা। বাস্তবতার কষাঘাতে আমার দু'পা ছিন্নভিন্ন শরীর থেকে রক্ত পড়ে টুপ টুপ, চুপ চুপ, সারাপথ একাকার; আমি আজ বড্ড হাঁপিয়ে গেছি মা। মা, তোমার ছেলে বড় হবার আগেই তার দিন-দুনিয়া ছোট হয়ে যাচ্ছে; কোথাও খানিক ভাবনাহীনতা নেই, না বলা হাজারো কথামালা জমে গিয়ে আজ আমার তনুতে প্রতিনিয়ত'ই লক্ষবার বিস্ফোরণ ঘটায় মা; মা, আমি সেই স্প্লিন্টারের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছি মা! মা, আমি আজ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি,মা! মা, পুরুষ মানুষের নাকি কাঁদতে নেই? মা দ্যাখো, আমি তো কান্না করতে ভুলে গেছি। মা, এই যে আমার শরীর পোড়ে,আমি তবু হাসি;উৎকট গন্ধ ছড়ায়, মা, আমি আজ বড্ড হাঁপিয়ে গেছি। মা, তুমি কোথায়? মা, তোমার কী আর দুদণ্ড অবসর হবে না? যেমন অবসর হতো সেই ছোট্ট আমির জন্য? শত ব্যস্ততাতেও আমি'ই মানিক-রতন। মা, তোমার ছ

প্রশ্নোত্তর | সামি আল সাকিব | অ-কবিতায় প্রলাপ

Image
এই যে তুৃমি প্রশ্ন করো জানতে চাও, নীলপদ্ম কাকে দিলাম? কৃষ্ণতর রুক্ষ পুরুষ লজ্জার মাথা খেয়ে এই যে এতো প্রেম লিখেছি তোমায় দেখে রুদ্ধবাক না দেখাতেও প্রেম পাচ্ছে, দুচোখ জুড়ে দগদগে ঘাঁ একটা বিষাদ, অব্যক্ততা আমার গোলাপ তোমার হাতে গোলাপ ঝড়ায় অব্যক্ত সুর, এই যে তোমায়, তোমায় বলি প্রেমপদ্য তোমায় দেয়া। তুমি বোধহয় পাওনি হাতে কিংবা আমার ক্ষীণস্বর হয়তো ওবুক হৃদয় হারা কোলায় বন্দি শিকার তাতে। এর বেশি আর কি'ই বা পারি ছুঁতে পারি, বোবা গলায় বলতে পারি "ভালোবাসি", অসুখ হবে প্রিয়? তবু, ছুঁতে গিয়ে হঠাৎই ফিরে আসি আমি ছুঁয়ে দিলে ভেঙে যাবে আকাশ খসে পড়বে চাঁদ, সংগমে লিপ্ত হবে অব্যক্তি-বিষাদ বিরহের প্রণয় হবে কঠোর প্রেমহীনা পুরুষের বুকেও জোয়ার-ভাটা হবে খুব গোপনে চোখ ঝড়বে, সহস্রকালের অক্লান্ত পথিকের দীর্ঘশ্বাসে শ্রান্ত হবে ধরা। তা'ই যেন দীর্ঘ ভারি, বড্ড অপ্রয়োজন। তারচে বরং,এই যে তোমায় ভালোবাসি আমার এতো চিন্তার ঝড় কতশত ব্যর্থপ্রহর অব্যক্ত রাত, ব্যাকুল প্রতিক্ষা এসবই যে তোমার জন্য আমাদের জন্যই না'হয় তা আড়াল থাক। জানতে চেয়ো না, এসো বাঁচি আমার, কিংবা আ

প্রতিশোধ | সামি আল সাকিব | প্রলাপ

Image
এইযে তোরা গাধার বাচ্চা গরু-ভেড়ার পাল এইযে তোরা শুয়োরছানা রামছাগলের ছাল এই যে তোরা কুকুরছানা কালনাগিনীর ঝি এইযে তোরা আবাল-বেকুব জানোয়ার বৈকি এই যে তোরা নেমকহারাম আরও কতক হারামখোর এইযে তোরা জারজ দালাল আরও শতক গোষ্ঠী-চোর রাখিস শুনে,বছর গুণে এসব তোদের নাম আজ বাদশা, কাল ভিখারি প্যাঁচাল পারা থাম এতো করিস কানাঘুষো এতোই অহংকার এতো করিস রাজনীতি আর এতো কীসের বাড়? আজকে ছোট তাই বলে কি বড় হবো নাকো? দিন সবারই আসবে ঘুরে সবুর করে দ্যাখো। দিন তোমারও ছিল'ই বটে ধরো,কাটো,মারো ঐ দেখা যায় সূর্য নতুন দিন আসে আমারো ধরবো সেদিন,মারবো সেদিন হৃদয় করবো দান মারবো দালাল জারজ যত ধরা'য় দেব প্রাণ।                  --- - " প্রতিশোধ " - সামি আল সাকিব - ৩১/১২/২০১৯ - মিরপুর-১৩,ঢাকা-১২১৬