Posts

Showing posts from 2018

একটি শৈশবের অপমৃত্যু | সামি আল সাকিব | অ-কবিতা

Image
শৈশবের প্রাণচাঞ্চল্য? তা কেমন হয়? আমার কাছে শৈশব এসেছিল, তবে সুপ্ত ভাবে। যার বিকাশ হয়নি,মাঠেই মারা গেছে। থাক সে কথা। আমার কাছে কৈশোর এসেছে। তবে, তার প্রকৃত সময় কী তা জানি না, তার প্রকৃত অভিলাষ কী তা জানি না, তার প্রকৃত উচ্ছ্বাস কী তাও জানি না। ............ আমার কাছেও কৈশোর এসেছিল। তবে, তা দিগন্ত বিস্তৃত রুক্ষ এক মাঠে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দূর-দূরান্তে তাকে দেখবার কেউ নেই, সেও মাঠে মারা যাচ্ছে! এতো স্বল্পতেই এতো মৃত্যু,এতো বিভীষিকা, এতো ধ্বংস - এই স্বল্পতে ধারণ হয়নি। তাই, আমি আজ জীবন্ত অবয়বের এক মৃতমানব! মনে-প্রাণে মৃত। মৃতদেহে পোকা ধরেছে! আর এ সুযোগে শয়তান বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আমি যেন মোহহীন কোনো অনন্ত পথের অনন্ত কালের যাত্রী। না,পথ হারাইনি। পথ খুঁজে পেলে তবেই না হারানোর শঙ্কা থাকে! আমি যে পথ খুঁজিনি, আমি যে পথ'ই খুঁজে পাইনি! তবুও হাঁটছি, জীবনান্দের মতো শত,সহস্রকাল ধরে ধরনীর বুকে। সব হারিয়েই নাকি জীবন পাওয়া যায়। ভাগ্যিস,আমার কোনোকালেই সব ছিলনা। হয়ত..... তবুও উদ্দেশ্যহীনতার উদ্দেশ্যে আমি ছুটে চলেছি। একটা বিষয় কিন্তু ভালো, শেষকা

কিছু বেঁচে রোক - সামি আল সাকিব | অ-কবিতা

Image
আমাদের গল্প হোক গল্প হোক রূপকথার, কিছু সুখস্মৃতি রোক স্মৃতি রোক মূককথার। কিছু কথা বাকি থাক কিছু কথা পূর্ণ, কিছু থাক প্রাপ্তি কিছু থাক অপূর্ণ। কিছু ইতিহাস হয়ে থাক কিছু থাক সাধারণ, কিছু থাক ডায়েরিতে কিছু থাক কিছু ক্ষণ। কিছু আর মিছুর খেলায় বেঁচে থাক খুব কিছু, গল্পরা বেঁচে রোক স্মৃতির পিছু পিছু।

একজন বামন ও একটি তারা | সামি আল সাকিব | অ-কবিতা

Image
একজন বামন ও একটি তারা- ****************************** তুমি, তারা হয়ে তারার পানে চাও তারা হয়ে তারার খোঁজে যাও আলো নিয়ে আঁধারে কভু পথ মাড়াওনি! আমি, বামন হয়ে তারা তোমায় ছুঁতে চাই বামন হয়ে আমি তারার পানে চাই গুণ নিয়ে কভু বামন পাড়ায় যাইনি! তবে কি- চলুক তপ্ত হাহাকার, চলুক মিথ্যে ছায়াবাজি, চলুক উপহাস জীবন নিয়ে, মিথ্যে কাজের কাজী এই মিথ্যে নিয়ে?! ©সামি আল সাকিব

শ্রীলংকান এগ কারি(Srilankan Egg Curry) রেসিপি।

Image
ডিমের সালুন ( Egg Curry ) -ডিমের নিম্নবর্ণিত রেসিপিটি হচ্ছে শ্রীলংকানদের ডিম তরকারি রান্নার খুবই সহজ এবং সুস্বাদু এক রেসিপি। চাইলে যে কেউই খুব সহজেই রাঁধতে পারেন মজাদার ও সুস্বাদু এই পদটি। রেসিপি:-                 ডিমের সালুন         উপকরণ:- ১। ৪-৬টি সেদ্ধ ডিম ২। দু'চামচ মাখন ৩। কুচি কুচি করে কাটা ২-৩টি      কাঁচামরিচ ৪।২-৩টি পাতাসহ ছোট পেঁয়াজ     কুচি করে কাটা ৫।কুচি করে কাটা ৩টি রসুনের     কোয়া ৬। দারুচিনি(প্রয়োজন অনুযায়ী) ৭। ২ টেবিল চামচ বাটা রসুন ৮। ১ টেবিল চামচ গোল মরিচ     গুঁড়ো ৯। কয়েকটি তেজপাতা ১০। এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ১১।দেড় কাপ ঘন নারকেলের দুধ ১২।দেড় কাপ       সয়াদুধ(সয়াসস)/পানি ১৩। ১টেবিল চামচ লেবু রস ১৪। লবণ (স্বাদ অনুযায়ী) >রন্ধন প্রণালি:-          মাটির হাড়িতে আগেই মাখন গলিয়ে নিতে হবে। সয়াদুধ,সেদ্ধ ডিম,লেবুর রস এবং নারকেলের দুধ ছাড়া বাদ বাকি সব উপকরণ চুলার মাঝারি আঁচে ভালো করে ২মিনিট তেলে ভেজে নিতে হবে। এরপর ডিম বাদে একে একে সব উপকরণ দিয়ে একটু পর পর দু-একবার হালকা করে নাড়তে হবে এবং বলক না আসা পর্যন্ত জ্বাল দিতে হবে। বলক এলে তাতে সেদ্

ব্যক্তিগত ডায়রির পাতা থেকে-

#ডায়রির_পাতা_থেকে ২৯-০৬-২০১৮ আমি তক্ত, বিরক্ত। সত্যিই আমি খুবই তক্ত। আমি তক্ত এই পৃথিবী নিয়ে,এই পৃথিবীর মানুষ নিয়ে,মানুষদের গড়া নিয়ম নিয়ে, মানুষদের জীবন ব্যবস্থা নিয়ে,আমার জীবন নিয়ে। তীব্র থেকেও তীব্রতরভাবে আমি হতাশ। যত চেষ্টাই করি না কেন এর থেকে বাঁচার কোনো পথ খুঁজে পাইনা।অনেক কিছুকে অবলম্বন হিসেবে ধরার চেষ্টা করেছি।তবু,ফলাফল বরাবরের মতোই শূণ্য। এর প্রভাব আমার জীবনে এতোটাই প্রভাব ফেলেছে আমাকে বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য যে একজন সর্বময় ত্রাণকর্তা বিরাজমান আমার তা ঘুণাক্ষরেও মনেই হয় না! শয়তান আমার ভেতর তার স্থায়ী আড্ডা গেড়েছে।আর নাস্তিকতা আমার মাঝে পালিত হচ্ছে! আমি খুব চেষ্টা করেছি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবার।খুব চেষ্টা করেছি।কিন্তু কেউ পাশে দাড়ায়নি।সবাই হয় দায়সারা শান্ত্বনা দিয়ে পত্রপাঠ বিদায় দিয়েছে। নয়তো কেবল স্বার্থের টানে যতটুকু প্রয়োজন ছিল ততটুকু পথেরই সাথী ছিল।আর এসবের মারপ্যাঁচে পড়ে আমার যে হতাশা ছিল তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে! তবু আমি কি স্রষ্টার কাছে,এই পৃথিবীর কাছে, এই পৃথিবীর মানুষের কাছে, আমার আপনজনদের কাছে,সহপাঠীদের কাছে খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম? এখন এই লেখা পড়ে অনেকে হয়তো দ

আলাপ; 'যে উপদেশ চিরসত্য'

* বড় বলতে কী বোঝায়? - পুরোনো পাকিস্তানি আমলের একটা স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের এক ভাঙা টেবিলে বসে আছি আমি। কবিতা লেখার খুব শখ। বড় হয়ে কবি হতে চাই কি না! তখনই খেয়াল হলো বড় জিনিসটা আসলে কী? যে বয়সে বড় সেই কী বড় নাকি যে কর্মগুণে বড় সে? যে তার ক্ষমতা, জাত,মর্যাদায়  বড় নাকি সে যে সদা নিজেকে তুচ্ছ মনে করে? হয়তো ভাবছো আমি এখন অনেক মহৎ কিছু কথা বলবো। কিন্তু আমি যে মহৎ  কিছুই জানি না! আসলে কে বড় তা নিরুপণ করা বড় কঠিন। যুগে যুগে বহু মনীষী বড় কে বিভিন্ন রূপ দিয়েছেন। তবে আমার কী মনে হয় জানো, বড় হবার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই,নেই কোনো নিয়ম। বিভিন্ন সময়ে,প্রয়োজনানুসারে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত যে নিতে পারে এ ভুবনে সেই বড় বলে বিবেচিত হয়। আমি এতো কিছু জানি না,তবু যেটুকু জানি তার আধাঁরে শুধুমাত্র একটি কথাই বলতে চাই; বড় হবার জন্য বয়সে বড় হবার প্রয়োজন নেই,সোনার চামচ মুখে জন্মানোর প্রয়োজন নেই,উচ্চশিক্ষিত হবার প্রয়োজনও নেই, বড় হবার জন্য প্রয়োজন নেই নিজেকে ছোট করবার। শুধু এটুকুই প্রয়োজন যে,পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও সময়োপযোগী যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং তার যথাযথ প্রয়োগ। আর হ্যা লাজুকতা থাকলে ক্ষতি নেই

খাজনার বাজনা(রম্যছড়া) | সামি আল সাকিব

Image
খাজনার বাজনা    - সামি আল সাকিব নাম কি তোমার? ডালিম কুমার বাস কোথাকার? মূল যমুনা পাড়! এখানে কি? খুঁজছি ঝি! বলো কি! বৈকি! গ্রামে নাই ঝি! আমি তাই ছাড়ি গ্রাম,       শহরেতে খুঁজি! তা কী ফল হলো? তা আর বলো! একেবারে খাপে খাপ! মিলে গেছে ঘাপ - ঘাপ এ্যাদ্দিনে মোর ঘুচিল জ্বালা, শহর ছাড়ি গ্রামের পথ ধরিবার পালা। তা বাপু খাজনা কোথায়! ভুলে গেছো নাকি? কি শোনায়! দিয়াছি কবে! এখনো কি রয় বাকি! তা নয়, তা নয় মহান রাজার নতুন নিয়ম, সবকিছুতেই খাজনা। তাও কি হয়? না দিলে দেখবে নিজের ক্ষয়! না!  না! হিসেব করো দিকি কত মোর খাজনা। দেখি আমি রাজা তোমার বাজায় কত বাজনা! হুশিয়ার! যত হও! নতুবা যাবে গর্দান! চুপ করে নিভাও কাজ নতুবা সেপাই তলোয়ারে দাও শান! ক্ষমা করুন কর্তা! ছোট আমি তব দয়াবান,ক্ষমা দাও তুমি স্বামী! ওঠ ওঠ! দিলাম ক্ষমা, দাও দেখি, জের জমা, এই নিন প্রভু,আছে পুরোটা। দণ্ডবৎ তব রাজা মশাই,আজ্ঞা দিন যথা ঠিকাছে, ঠিকাছে, যাও দিকি,আর বাড়িওনা কথা! যথা আজ্ঞা,যাচ্ছি তবে, এবার ই হবে, মোর কার্যসাধন। তব শহরে পেয়ে গেছি মুই সাত রাজারই ধন! আর শিক্ষে পেলুম এই যে খাজনা ছাড়া নেইকো পথ,যে,যাই হোক বাহে