কবিতা: চুরুটের তেষ্টা | সামি আল সাকিব
আজ এক-কোটি বছর আমি চুরুটে তেষ্টা মেটাইনি, ধূম্র শলাকায় আগুন জ্বালিয়ে কেবলই মুখ,দাঁত খিচে টেনে গেছি আর কটমট করে তাল মিলিয়েছি খিস্তি খেউড়ে, বলে গেছি আমি আছি। অথচ বেড়িয়েছি চুরুটের তেষ্টা মেটাবো বলে, পাইনি; যেমন করে প্রেয়সীর ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেখা, অথবা উরু সন্ধি, বক্ষ ঢল, আর নরম শেতাঙ্গ ছুঁতে পারেনি শিশ্ন; শিৎকার, চিৎকার, নেহাত'ই নিরবতা শোনবার ক্ষমতা হয়নি কারো, অথচ বেড়িয়েছি চুরুটের তেষ্টা মেটাবার ছলে, পাইনি। যেমন করে প্রেয়সী হয়ে গেছে রমণী; আদুরে, সাধারণ বাঙালি গৃহিণী, মুখ লুকিয়ে,গাল ফুলিয়ে বসে থাকা কোলাব্যাঙ; অথচ আমি কেবল সঙ্গীনী চেয়েছি, আত্মার সঙ্গীনী; ঘরোয়া-রমণীর দায় নিতে সাধ পাইনি, তবু দিনশেষে রমণী হয়ে'ই এলো সে-তারা যেমন করে চুরুটের নেশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেনে গেছি কেবলই ধূম্র শলাকা, তেষ্টা মেটেনি। নাক,মুখ খিঁচে মেতেছি খিস্তি-খেউড়ে, ধোয়াঞ্জলী দিয়েছি কাল-আকাশ, প্রেয়সীর বিকেল, অস্বস্তিকর মধ্যরাত; অথচ বেড়িয়েছিলাম চুরুটের তেষ্টা মেটাবার ছলে, না চুরুট না প্রেয়সী, আসেনি কেউ। তেষ্টায় হৃদয় শুকিয়ে কাঠ, কাঠের আগুনে চড়ে ঈশ্বর বলেন 'সব দায় আমার', যেমনটা হয়ে গেছে প