প্রলাপা’য়োজন-০৩ | সামি আল সাকিব
মানুষ ম’রে গেলে, সদরের-ঘরটাতে
বড়-বাঁধাই ছবি ঝুলতে শুরু করে তার
ছবির গলায় চড়ানো ফুলের হার, সামনে ধূপদানি
দিনে দিনে- ফুলগুলো শুকিয়ে যায়, থেকে যায় মড়মড়ে কিছু পাপড়ি, কঙ্কালসার হয়ে..
ধূপদানির কাঠিগুলো, পুড়ে গেছে কবে, পড়ে আছে ছাই, ওভাবেই
যেভাবে মানুষটা ম’রে গেছে, তবু শ্রাদ্ধের নিয়মে
ছবি টাঙানো সদরের ঘরটাতে, প্রমাণ দেখাতে,
ম’রে গিয়েও তুমি বেঁচে আছো, তাই!
আদতে মানুষ বাঁচে অন্তরে, স্মৃতিতে,
স্মৃতি ম’রে গেলে, মানুষ ম’রে যায়, কেইবা তাতে ফুল চড়াতে যায়, ধূপদানি জ্বালায়!
দেহাবসান তো কতভাবেই হয়! আত্মার সাথে আত্মার সংযোগ, বিচ্ছেদ কি তবে দেহাবসান নয়, আত্মার?
স্মৃতি থেকে গেলে, মানুষ যত্নে তুলে রাখে, যত্নে ফুলমালা বদলায়, নিয়ম করে ধূপদানি দেয়, মৃত্যু মানেই তো বিচ্ছেদ নয়!
বিচ্ছেদ তো ও’ই, ছবি আছে, মালা-কঙ্কালসার, ধূপদানি কত বছরের ছাই ধরে আছে, ছবি-জোড়া ধুলো, তবু লোকে বলে-
এ’ই যে স্মৃতি, ধরে রাখা চাই। এরচে’ বড় প্রহসন-মিথ্যের, সামাজিকতার? আর কীসের জন্য, কেন করা, নিজের সাথেই দ্বিচারণ,
স্মৃতিচারণ, অম্লান! আদৌ তাই?
---
~ সামি আল সাকিব
~ ১৪/০৪/২০২২
Comments
Post a Comment