ব্যক্তিগত ডায়রির পাতা থেকে-

#ডায়রির_পাতা_থেকে
২৯-০৬-২০১৮

আমি তক্ত, বিরক্ত। সত্যিই আমি খুবই তক্ত। আমি তক্ত এই পৃথিবী নিয়ে,এই পৃথিবীর মানুষ নিয়ে,মানুষদের গড়া নিয়ম নিয়ে, মানুষদের জীবন ব্যবস্থা নিয়ে,আমার জীবন নিয়ে। তীব্র থেকেও তীব্রতরভাবে আমি হতাশ। যত চেষ্টাই করি না কেন এর থেকে বাঁচার কোনো পথ খুঁজে পাইনা।অনেক কিছুকে অবলম্বন হিসেবে ধরার চেষ্টা করেছি।তবু,ফলাফল বরাবরের মতোই শূণ্য। এর প্রভাব আমার জীবনে এতোটাই প্রভাব ফেলেছে আমাকে বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য যে একজন সর্বময় ত্রাণকর্তা বিরাজমান আমার তা ঘুণাক্ষরেও মনেই হয় না! শয়তান আমার ভেতর তার স্থায়ী আড্ডা গেড়েছে।আর নাস্তিকতা আমার মাঝে পালিত হচ্ছে! আমি খুব চেষ্টা করেছি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবার।খুব চেষ্টা করেছি।কিন্তু কেউ পাশে দাড়ায়নি।সবাই হয় দায়সারা শান্ত্বনা দিয়ে পত্রপাঠ বিদায় দিয়েছে। নয়তো কেবল স্বার্থের টানে যতটুকু প্রয়োজন ছিল ততটুকু পথেরই সাথী ছিল।আর এসবের মারপ্যাঁচে পড়ে আমার যে হতাশা ছিল তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে! তবু আমি কি স্রষ্টার কাছে,এই পৃথিবীর কাছে, এই পৃথিবীর মানুষের কাছে, আমার আপনজনদের কাছে,সহপাঠীদের কাছে খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম? এখন এই লেখা পড়ে অনেকে হয়তো দায়সারা  শান্ত্বনা দিবেন,কিন্তু তাতে লাভ কী? যখন প্রয়োজন ছিল তখন তো কেউ খোঁজ নিতেও আসেনি! তবু আমার কারো বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ নেই।সবাই যা করেছে তা নিজের ভালোর জন্যেই করেছে।এতে খারাপ কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।তবে আমি কী করেছিলাম? আমার চাওয়াও তো খুব সামান্যই ছিল-শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ একটা জীবনই তো আমি চেয়েছিলাম! তবে কেউ তা দেয়নি,কেউ দিতে চায়নি,কেউ তা দিতে পারেনি। থাক আর কারো কিছু করার দরকার নেই।তবে কেউ এই ভেবে ভুল করবেন না যে আমি আত্মহত্যা করব বা কাউকে খুন করব। এতোটা দুর্বল চিত্তের মানুষও আমি না।তবু সকলের কাছেই আমার একটা প্রশ্ন রইল,আমার এ অবস্থার জন্য কি আমি নিজে দায়ী নাকি.....?!

©সামি আল সাকিব

Comments

Popular posts from this blog

বুক রিভিউ: যাপিত জীবন - সেলিনা হোসেন

বুক রিভিউ: মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য

বুক রিভিউ : ‘বৃষ্টি ও মেঘমালা’—হুমায়ূন আহমেদ

প্রলাপা’য়োজন -০৪ | সামি আল সাকিব