একটি শৈশবের অপমৃত্যু | সামি আল সাকিব | অ-কবিতা


শৈশবের প্রাণচাঞ্চল্য?
তা কেমন হয়?
আমার কাছে শৈশব এসেছিল,
তবে সুপ্ত ভাবে।
যার বিকাশ হয়নি,মাঠেই মারা গেছে।
থাক সে কথা।

আমার কাছে কৈশোর এসেছে।
তবে,
তার প্রকৃত সময় কী তা জানি না,
তার প্রকৃত অভিলাষ কী তা জানি না,
তার প্রকৃত উচ্ছ্বাস কী তাও জানি না।
............
আমার কাছেও কৈশোর এসেছিল।
তবে,
তা দিগন্ত বিস্তৃত রুক্ষ এক মাঠে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
দূর-দূরান্তে তাকে দেখবার কেউ নেই,
সেও মাঠে মারা যাচ্ছে!

এতো স্বল্পতেই এতো মৃত্যু,এতো বিভীষিকা, এতো ধ্বংস - এই স্বল্পতে ধারণ হয়নি।

তাই,
আমি আজ জীবন্ত অবয়বের এক মৃতমানব!
মনে-প্রাণে মৃত।
মৃতদেহে পোকা ধরেছে!
আর এ সুযোগে শয়তান বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।
আমি যেন মোহহীন কোনো অনন্ত পথের অনন্ত কালের যাত্রী।

না,পথ হারাইনি।
পথ খুঁজে পেলে তবেই না হারানোর শঙ্কা থাকে!
আমি যে পথ খুঁজিনি,
আমি যে পথ'ই খুঁজে পাইনি!

তবুও হাঁটছি, জীবনান্দের মতো শত,সহস্রকাল ধরে ধরনীর বুকে।

সব হারিয়েই নাকি জীবন পাওয়া যায়।
ভাগ্যিস,আমার কোনোকালেই সব ছিলনা।

হয়ত.....
তবুও উদ্দেশ্যহীনতার উদ্দেশ্যে আমি ছুটে চলেছি।

একটা বিষয় কিন্তু ভালো,
শেষকালে ভয়ংকরকেও ভালোই মধুর লাগে।






©সামি আল সাকিব
[ডিপ্রেসন বা মানসিক বিষণ্ণতার প্রকৃত সংজ্ঞা আমি জানি না।জানতাম ও না। তবে যে সময়ে লেখাটা লিখেছিলাম  একদম সত্যি বলতে কি তখন আমি মাত্রই  কৈশোরে পা দেয়া এক বালক এবং বেশ কিছু সমস্যা,একাকীত্ববোধ,মানসিক হতাশাসহ আরো অনেক কিছুতেই এতোটা বিধ্বস্ত ছিলাম যে তা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয় এবং তখন আমার মাথায় এমন কিছু বিষয় কাজ করতো যা থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরেছিলাম বলেই হয়তো আমি আজ "আমি" হওয়ার পথে অগ্রস্থিত। লেখাটায় চেষ্টা করেছিলাম নিজের অবস্থা তুলে ধরে এর থেকে নিস্তার পেতে। দয়াপূর্বক শেষ অবধি না পড়ে যে কেউই অযাচিত কিংবা রুচিহীন কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।]

Comments

Popular posts from this blog

বুক রিভিউ: যাপিত জীবন - সেলিনা হোসেন

বুক রিভিউ: মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য

বুক রিভিউ : ‘বৃষ্টি ও মেঘমালা’—হুমায়ূন আহমেদ

প্রলাপা’য়োজন -০৪ | সামি আল সাকিব